Sunday, July 28, 2019

অসমাপ্তির বিচ্ছেদ

Article Tag No. 31142
© Abiyad Ahmed 

                      অসমাপ্তির বিচ্ছেদ 

http://abiyadahmed.blogspot.com




অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি আজও ঘোচেনি, এখনও “স্বার্থ” নামক বিশেষ্য তাড়না করে। একধারে নিজস্বতা বলে সমীকরণ সূত্রযোগে মেলেই-না, অন্যদিকে, পরসত্ত্বা নিয়ে জীবনের সূর ও ছন্দ। কবিদের কালি সত্যিই গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে কারণ সংলাপে আর বিবেচ্য বানী লেখে না, ফলতঃ কঠিনেরও যে কঠিন হল সত্য এবং তাতেই আমাদের বেড়ে ওঠা সেটা স্নেহগন্ধা আগামী শতাব্দীতেও বুঝবেনা।

অনাদিকালেই পরিচয় আদি এবং স্নেহগন্ধার, এক অদ্ভুত সৌন্দর্য্য গ্রাস করেছিল আদির হৃদয় স্পন্দনকে, এককথায় বর্তমানের লাভ অ্যাট ফার্স্ট সাইট! দোদুল্যমান জীবনে একটা প্রেম বাঙ্গালীর অপ্রিয় যায়না বরং একরাশ আনন্দে বিনিদ্র রাতে নৌবহরে প্রেমিকার প্রপোসাল নিয়ে ধ্যানমগ্ন থাকে। আদি সেদিনের প্রেমটায় শুরু করেছিল খোলা আকাশের নীচে সবুজ সমীরন ঘাসের বুকে – আলাপের গল্পে ছিল স্নেহগন্ধার কালো কাজলের প্রসংশা, অভিমানগুলো ছিল বসন্তের মৃদু বাতাসের মত। এইভাবেই একের অজান্তে বিক্ষিপ্ত ভালোবাসার উদয় এবং চার হাতে তাদের পথচলার অঙ্গীকার। কখনো দু’ধার খোলা লেকের নির্মল প্রকৃতিচ্ছায়ায় আবারও কোনদিন নিরুদ্দেশের প্রেমটা প্রখর দুপুরে ট্রামলাইন ধরে ধর্মতলার রাস্তায় উঁকি দিয়েছে। কিন্তু সময়ের ডালে ফুরিয়ে যায় প্রেম, তেমন-ই বদলের বীজগনিতে ৪ বছরের রাশিমালা পাল্টে ফেলেছিল আদি ও স্নেহগন্ধা। নামিদামি জাঁকজমক ভরা রেস্তরাঁয় তাদের উঠা-বসা, বেশ আনন্দের সাথে উপভোগ করেছে স্নেহগন্ধা তাঁর ভালোবাসার মানুষটিকে, কখনো শীতের সকালে ময়দানের ভেজা ঘাসে কখনো শরতের সূর্যোদয়ে। এইভাবেই হঠাৎ শব্দযুগলের নিষ্ঠুর আত্মপ্রকাশ ঘটল এবং ফ্যান্টাসির সব রোমান্টিসিজম তীব্র উদ্বেগে কুপোকাত করে ফেলল আদির গড়া আনন্দের বহ্নিঃশিখায়। এখন আদির আকাশে নির্মল মেঘে অঝোর শ্রাবণ নামে; কেন সে জানল না যে স্নেহগন্ধা আজ বাস্তবসন্ধানী – আদির প্রতি এই বিশেষণ ঘৃণার সঞ্চার ঘটিয়েছে।

ইতিহাসিক সংগ্রাম নয় তবুও আদি বিদ্রোহী বটে, সে তাঁর স্বপ্নগুলোকে অপমানিত হতে দেইনি, লাঞ্ছনা নিজেই নিয়ে সে আজ প্রতিচ্ছবি গড়ে তুলেছে স্নেহগন্ধার আরশীনগরে। মৌনতায় ভরা বাস্তবের যৌগিক সংখ্যাগুলো আজ সত্যিই ঊর্ধ্বতক্রমে ছাপিয়ে তুলেছে দূরত্বের গাণিতিক রূপটা।

দীর্ঘ প্রতিক্ষার অট্টহাসি স্নেহগন্ধার ঠোঁটে ফুটুক, অধ্যায়ের সমাপ্তি নামুক।

For suggestion / complaint kindly use this link. 

Wednesday, February 20, 2019


Article Tag No. #2019-67

Title: অন্য বসন্ত


অন্ধকারের ক্ষীণ আলোটা অস্তমিত হবে যেন ঠিক এই মুহুর্তেই আমার বিচলিত দৃষ্টির প্রান্তরে তুমি কাশফুলের শুভ্রতা নিয়ে আমাকে বরণ করলে আমি নিজের অজান্তেই শতাধিক ধ্রুবতারার সংলাপে গা ভাসিয়েছি। অপৃষ্ট চেতনার কাহন, বেগতিক রোমান্টিসিমের অভয়ারণ্যে যতবার খুঁজেছি নিজেকে, শব্দ ছন্দের আলিঙ্গনে তুমিই অপ্রিয় সত্য! ভালোবাসি তোমায়, উর্ধগগণে চেয়ে থাকি তোমার বসন্তের কবিতায়, তুমি রূপময়ী, উথলে ওঠা জাহ্নবী নদীর জোয়ার, আমার সংবেদনশীলতা খানিক আলোকবর্ষ দূরে আছে। সমাসের বিশ্লেষণ এখন তোমার পুলকিত দৃষ্টি, শিহরিত আবেগ, অদেখার নাভিশ্বাস কে উপেক্ষা করে আমার ঘুম ভাঙ্গায় - তুমি সেই চাতক, যে এখনও গাঙ্গিনির তীরে মেলে ধরে তুর পাহাড়ের উচ্ছ্বাস। আমি বিহ্বল তোমার আপাত ভালোবাসায়, আমি প্রেমিক বটেই তবু পেতে চায় তোমায় আমার উপন্যাসের চরিত্রে! কি? তুমি দিগ্বিদিক হারিয়ে ফেলেছ? আমি যে তোমায় ভালোবাসি, যদি আমি অনন্ত জীবন পাই - আজকের প্রতিটা মুহূর্ত শঙ্খশুভ্র মেঘপুঞ্জে , শুক্লাকাশে, নক্ষত্রের রাতে চিৎকার সমাগমে বলব তোমার নাম, ভালোবাসি তোমায়। লক্ষ কোটি মুমূর্ষের কারাগারে, জনতার কোলাহলে খুঁজে পাই তোমার নিঝুম ছায়া, আমি বুঝে গেছি শুধু কথা, গান নয় — নীরবতা রচিত হয়েছে আমাদের। নির্জন ঘাসে বসলে শান্তি মেলে তোমার অভিমানী ঠোঁট চোখে ভাসে, দেহের প্রথম কোন প্রেমের মতন
রূপ তোমার— এলোচুল ছড়িয়ে ঢেকে রেখেছো গূঢ় রুপখানি, সোনালী চিলের ন্যায়।

বুঝতে পারোনি আমার ভালোবাসা? আমি কবি না, কিন্তু তোমার স্বপ্নের আদলে যথারীতি সহবাস হয়েছে দুটো ভাবনার, এই নবান্নে শুরু হোক আমাদের জীবন এক নদীর উজ্জ্বল জল কোরালের মতো কলরবে। ভালোবেসে যাবো সন্ধি শতাব্দীর সেই শালিকের কুয়াশাচ্ছন্ন রাতের জেগে ওঠা পর্যন্ত, কথা দিলাম!!

Don't copy or repost without prior permission. 

Thursday, October 11, 2018

Ek_Guccho_Obosor

Dedicated to #Sharyn Ahmed


Please inform immediately if any error found i.e. spelling mistake and punctuation.

             

Monday, August 20, 2018

Bhalobasar Prosthan

Article Tag No: #31221
Copyright reserved to Abiyad Ahmed                                                              Suggestion / Complaint - Click here



ভালোবাসার প্রস্থান !

কলমে - আবিয়াদ আহমেদ


প্রস্থান করেছে সকল জীর্ণ জীবন, বহু সংকল্পের ভিড়ে আমি আজও নিস্পাপ জননীকে খোঁজ করি – সে যে সুগম পথগুলোতে দুর্গম পদচিহ্নের আঁকিবুকি রেখে গেছে আমার প্রাণে। তুমি ছিলে নাকো শিথিল, অশ্বেমেধা বা স্বৈরাচারী – ছিল এক বীর যোদ্ধার নির্ভীক স্ত্রী। চিরঘুমে আজ নিদ্রিত আছো তুমি মা, নিস্পলক দৃষ্টিতে আজও অঝোরে তোমার হিতাকাঙ্খি পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন। ধরিত্রীর এ কেমন অপূর্ণতা? কাদামাটি খেলা ভাই বোনের স্নেহাধন্য স্মৃতিরা, অট্টহাসির আদলে মান অভিমানের দাম্পত্য কারুকার্যের বিনুনি, তৃষ্ণার্ত ঠোঁটে মায়ের আঁচল জুড়ে কত ভালোবাসা – হঠাৎ বিলিন হয়ে গেছে গন্ডীহীন আকাশের নিলিমায়। অগনিত বেমানান কষ্টের ঝুড়ি বুকে বেঁধে হেঁটে চলেছি তেপান্তরের পথে। আজ বহুদিন হল তোমার অবসর নেওয়া জাতিস্মরের হৃদয় থেকে ফল্প্রসুত সময়টা থমকে দাঁড়িয়েছে। আমাদের খেয়াল তুমি আর রাখতে পারছনা, গাঙিনীর ঢেউয়ে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে তোমার আদর, আবদার; একপ্রকার গুমোট নিস্তব্ধতা শিকলে আঁটকে গেছে। বাড়ির কলেরব প্রায়শয় নিস্তেজ মা! আমরা ভাল আছি ধুলোঝড়ে, রক্তক্ষরণ চোখে স্বপ্ন দেখে – গোধূলির শেষবেলায় অহেতুক নিরাশায় খোঁজ করি তোমার এককাপ চায়ের, স্নেহে জড়ানো একচিমটি ভালোবাসার। এই বেশ ভাল আছি নিজেদের অতৃপ্ত সুখের আড়ালে, হাজার কলহের মাঝে, বিত্রিশ্না-বিরহের কাঁধে ভর দিয়ে বিহ্বল দৃষ্টিতে চোখের কোণে জল উদ্ভাসিত করে আমায়, অজানা খেয়ালে জানতে বড় ইচ্ছে করে “মা তুমি কেমন আছো?”। নিন্দুকেরা আজ অসময়ে দল বাঁধে না, খুব সহজে তোমার ফেলে আসা সদনে নিস্পাপ হাসিগুলোর জাঁকজমক ছেয়ে নেয় না – কারন তোমার অনুপস্থিতি বিলীন করে ফেলেছে শরতের কাশফুলগুলোকে। মাতৃক্রোড় একমাত্র আমার নিরাপদ আশ্রয় ছিল, অন্ততঃ তোমাকে হারিয়ে ফেলার যন্ত্রণা বুঝতাম না।  কালো অন্ধকারের তলায় রাত্রিবেলাকার অস্পষ্ট নভমন্ডলে তুমি ক্ষীণ হয়ে পড়েছ। ধরাতল থেকে এক কন্যা বিদায় নিয়েছে যে আলোর অন্তরালে বিস্মৃতির দূতী ছিল। মা, তুমি জানো? হলুদ শাড়ীর এক অতিথি শিরীষের বন পেরিয়ে ধানসিঁড়ির পাড়ে এসেছে। ভাল নেই কেউ তোমার অনিবার্য ছুটির খবরে। ফুটপাথ ধরে অনেক হেঁটেছি তোমার খোঁজে, কাঁচা বাতাবীলেবুর সুঘ্রাণে খুঁজেছি তোমায়, পুরানো ধসূর শাড়ীর স্তূপে তোমার অস্তিত্ব খুঁজেছি, বসুন্ধরায় ম্রিয়মান গোধূলি নেমেছে ক্লান্তির বিছানায় আবার নিস্পলক দৃষ্টিতে শুয়ে পড়েছি ততক্ষণে নীলাম্বরী সরে গেছে কোকিলের পাখনার মত তবুও বিষপঙ্কিল শ্বাস থেমে যায়নি। তুমি প্রয়াণ পটভূমির দেববাণী, আশীর্বাদ করিও আমায় অমর্ত্যলোকের দ্বারে। প্রভুর কৃপায় তুমি সুখনিদ্রায় নিদ্রিত, সখের গড়া অট্টালিকায় কে আজ যাবে? অনন্তের নিয়ামত ভোগে যারা ব্যতিব্যস্ত তারাও মুখ ফেরে যায় রঙ্গিন ভুবনে। সে, তুমি চলে গেছে, প্রস্থান হয়েছে ভালোবাসার, মোহের, আদরের, অনিচ্ছুক আবদারের। এইভাবেই অনাদিকালের এক ভালবাসা প্রস্থান করছে, করেছে – যেটা কোনদিনও আসবে না জনসম্মুখে। ভালো থেকো, যথাসাধ্য আমরা তোমার তরে আমল উপহার দেবো।

Do not copy / re-post without prior permission of the Author






Wednesday, July 25, 2018

Nirbashan

Article Tag No. 31220
© Abiyad Ahmed 
For suggestion / complaint kindly use this link. 

নির্বাসন

                খোলা চোখে স্বপ্ন বাঁধে অতীত, যারা অসহায় – নিস্তব্ধ, এমনই এক ভালোলাগা দিনের চৌকাঠের ওপারে ঘুড়ি উড়িয়েছিলাম আমি। বিপন্ন হাতের উষ্ণতায় কত কালো ধোঁয়া আমার প্রেমে পড়েছিল সেইদিন! এহেন নির্মল আকাশের নীচে আবেগ এলো, মিষ্টি গানের সুরগুলো সেজে উঠেছিল অজানা গরিমায় – তবু থেমে যায়নি আমার চেতনা। রাসবিহারী মোড়ে দাড়িয়ে থাকা ট্র্যাফিক সিগন্যালে, উম্মীলন ঘটেছিল শারীনের, কিছু মুহূর্তের আবেগে দেখেছিলাম তাহার সরল মুখখানা, যেন কলার ভেলায় এক রাজহংসী। বিনোদন ছিল, উগ্র-আবেগের চরম প্লাবতা ছিল, আমেজ ছিল প্রায় অন্যরকম – পাশের টাক মাথার দাদুর লীলা বড্ড অট্টহাসির সম্মুখীন করেছিল তাকে,  সেখানেই তার রোমাঞ্চের উৎকর্ষ সাধন হয়েছিল। জানা ছিলনা যে রক্তমাখা হাতে চুলের বেনী খুললে নারীকুল বড় লোভনীয় হয়ে পড়ে, তারা অনাবিল আনন্দ ভোগ করে, বুঝে ছিলাম সেদিন বন্ধ কাঁচের ভেতর অতৃপ্ত রোমাঞ্চকর সহিষ্ণুতার তাৎপর্যগুলো। ব্যাস, আর বিলম্ব না করেই, গাড়ির দরজা খুলে নেমে পড়লাম, রোমহর্ষক করে তুলেছিল তার লম্বা চুলের ঝাপটা, লাল রং-বেরঙ্গের এক ঝাঁক চুড়ি, নীল-সবুজ সালোয়ার পড়া উদাসীন দেহের সৌন্দর্যতা এবং সেটা মুহূর্তেই আমার গহীনে বিশৃঙ্খল অরণ্যের আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। কেমন একটা গর্জন ছিল সেই দুপুরের, রূপোলী শ্রাবণ ভর করেছিল ঠাণ্ডা কাঁচের শার্সিতে। খুঁজে পায়নি সেদিন চিঠির ডাকবাক্স, আধুনিকতার মোড়কে দু’চারটে ঠ্যালা-রিক্স আর বাদাম চাঙ্ক। তাপহীন রৌদ্র, বিষম বৃষ্টি নিয়ে সেজে উঠা প্রেম উৎসব মেটে সিঁদুর মেখেছিল। হতভম্ভ হয়নি, আবেগ পিছু ছাড়েনি আমার – তবু জনহীন প্রান্তরময় অস্পষ্ট দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলাম ট্রামের ঘণ্টা থেকে কন্ডাক্টর এর চিৎকার আমায় বধ করেনি। কীসের এই রূপকতা? ব্যস্ত বসন্তের মাঝে লেলিহান দৃষ্টিপট থেকে হারিয়ে গেল এত আবেগ অচেনা শহরের বুকে। ইচ্ছে ছিল আলতা পায়ে হলুদ শাড়িতে গোলাপের বিছানায় বসে গল্প করতে, পড়ন্ত বিকেলে জানালার দিকে তাকিয়ে থাকি রোজ – বাইরের বিপুল ঝড়ে তুমি ফিরতে পারবেনা বলে, খরচোখে তমার-আমার শুভদৃষ্টি হবে না বলে, তোমায় আমি ছুঁতে পারবনা বলে। শুকনো নদীর জলে পা ডুবিয়েছিলাম, রূপোয় বাঁধানো আয়নায় খুঁজে ছিলাম আবার একবার তোমায় – জলের সম্মুখ ছাড়া নারীকে মানায় না বলে। তাই অত্যন্ত মমতায় উপহার প্রেরণ করেছিলাম, শারীনের হারিয়ে ফেলা ডাক ঠিকানায়। গদ্দ্যেছন্দে বহু প্রশ্নের জবাব নপুংসতার মুখোমুখি হয়ে গন্ধরাজ ফুলের কুঁড়িতে, শিউলির বোঁটায়, সিগারেটে জমা শ্যাওলায় নির্বাসিত হল। বাতাসে উড়ে বেড়ানো রূপোলী মানবী উৎসুক চোখে খোলা চিঠির অপেক্ষায় – লোভহীন শরীরের নিবেদন চোখ বুজে হউক নির্বাসন।



বিঃদ্রঃ পাঠকবৃন্দের কাছে বিশেষ অনুরোধ আপনারা কোনও অংশ অনুমতি ব্যতিরেকে কোথাও ছাপিয়ে দেবেন না, স্বপ্রমান ধরা পড়লে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



ধন্যবাদ জ্ঞাপন: আবিয়াদ আহমেদ 


For suggestion / complaint kindly use this link. 

Wednesday, November 29, 2017

পত্র ১

Article No. L0001
© Abiyad Ahmed
#Dedicated


আমার ভালোবাসা,

              গূঢ় চিন্তার মেলা পুরো আপদমস্তকে, দিগন্ত জুড়ে হতাশার ভিড় জমেছে। আমি তোমার প্রেমিক, ভয় করে তোমার সূক্ষ বিচারের কূলে আমার তোষামোদি করতে। আমি কখনও জানতে চাইনি তোমার নিকটস্থ সকল চেতনারা কতটা দুর্বল আমার ভালোবাসার নিরিখে? জ্ঞানপূর্বক আমি স্থিতিশীল আজ, মোহরানা দিতে পারিনি তবুও তোমাকে অনেক স্নেহ দিয়ে এসেছি। তথাকথিত আমাদের সম্পর্কে অনেক বাঁধা আছে - বিশ্লেষণ করার মত পরিস্থিতি এখনই এসেছে কিন্তু আমরা অনড়। প্রতিবন্ধী দুটো মন, দুর্লভ ভালোবাসা, অনেকটা স্পঞ্জের সঙ্গে শক্ত শামুকের খোলক! সমস্যাটা কোথায়? খুঁজে দেখেছি দুজনের চোখে অপরদিকে ছেড়ে যায় সমাধানের রাস্তাগুলো। কোকিলের দেহ কুৎসিত হলেও সুমিষ্ট গলার সুর মন কেড়ে নেয় রাখালের, নতুন নিশ্চয় শুনলে বলে মনে হচ্ছে কারণটা খতিয়ে দেখলে তোমার মনে হবে আমাদের সম্পর্কটা সত্যি সত্যিই সমস্যার আঁতুড়ঘর। অসংখ্য নিশুতি রাত পেরিয়ে গেছে, আমাদের অন্তর্ণীল প্রেমগুলো সেজে উঠেছে রোশনির আলোয় পার্কের অন্ধকার ঝোপের আড়ালে, কিংবা লোকশূন্য নির্জন গলির অন্ধকারে - ভালো কথা, এসবের পাশাপাশি দুজনের অভিমান, একে অপরের প্রতি ক্রোধও জমেছে সেটা নজরেই আসল একজনের। হতভাগা ‘সম্পর্ক’ রা কেঁড়ে বলছে, তোদের ধিক….ধিক….ধিক্কার! তোরা সূর্যের আলোয় অনেক হাসি মজা করে রাতের নভমণ্ডলের নক্ষত্রপুঞ্জের সামনে কত রঙ মাখিস (ব্যঞ্জনাধর্মী), মিঠেল হাসির আদলে বুকে যন্ত্রণা নিয়ে ‘তোমাকে ছাড়া আমি বাঁচবোনা’ আশ্বাস দিস। এ ‘সম্পর্ক’ যে ভীষণ মায়াবী সে জবাব শুধু দুজনই জানে, এক - প্রেমজুগল, দুই - সৃষ্টির স্রষ্টা; - যেমন অঝোর গলায় দুজনে চেঁচিয়ে গর্জায় এই শীতের নিস্তব্ধতায় তেমনই ঘরকুনো দুটো হৃদয় উপলব্ধি করে দুজনের অনুপস্থিতি। প্রেমিকরা আর যেমনই হউক, তার সঙ্গিনীর উপর বাজপাখির চোখ রাখে, সর্পদংশন থেকে পাখির বিষ্ঠা গায়ে না লাগে, সঙ্গিনীর মাও বোধহয় জন্মলগ্নে নিজের কোষ্ঠতে থাকা বাচ্চার খেয়াল রাখেনা সাধারণত। মৌলবাদী ধারণার প্রেক্ষিতে, সমাজের চিত্রকলায় অনেক ধুলো জমেছে - জমেছে অনেক শীত - অনেক ধোঁয়াশা কুয়াশা, এতগুলো দিনের মজুরি বলতে ‘ইগো’। বাহঃ নবীনের বরণ তোমার কোথায় গেল? ইজ্জতের আভ্রু মিটিয়ে দিলে কোন অচেনা ঢেউ এ? শংসা যদি আসে, তোমার বেমানান হাসির সাথে সোনালী রঙের চুলের, ভালোলাগা যদি হয়, তোমার গায়ের গন্ধে তোমার নরম তালুর ছোঁয়া - বাকিটা আত্মহুঙ্কার। জানি আমি আমাদের দায়বদ্ধতা উবে গেছে, অহর্নিশি আমাদের সকল পরিশ্রমের মূল্যে, জানো বেঁচে আছে শুধু নির্ভিক জাগ্রত ‘জেদ’ - বিতৃষ্ণা আর বিতৃষ্ণা।

আজ এইদিনটা দেখার অপেক্ষা করেছিলাম আমরা? সব প্রশ্নরা ভিড় জমিয়েছে আমাদের মনের আনাচে কানাচে, এই শুভঃ দিনটা আমরা সাজিয়েছিলাম আমাদের ভালোবাসা দিয়ে? এগুলোই স্বার্থক আমাদের বেখেয়ালি ভালোবাসার তীরে? জবাব শুধু মনকে দিলে ক্ষতি নেই কিন্তু মুখের কারচুপি সমাজের নিরীহ বৃক্ষরাজির কাছে সঁপে দেব কোন মহৎ উক্তি দিয়ে? ‘তোমাকে’ সুন্দর রাখতে আমরা অনেক তপস্যা করেছি, নদীর বুকে থেকে ঝিনুক এনে প্রস্তাব দিতে পারিনি অথচ নর্তকীর ঝুমকা তোমাকে উপহার দিয়েছিলাম। আজ যদি দুটো আবদার রাখি তোমার ঊর্ধ্বত দৃষ্টিকোণে সেখানে ক্ষতি কোথায়? আমাদের লেলিহান প্রান্তরে এইভাবে একলা ফেলে কেন তুমি নিজের মতিভ্রম করছো? আবেগ - জানি! তোমার অনেক আবেগ আছে, অনেক চাহিদা আছে, যে প্রেমিক নিজের প্লেটের খাবার তুলে তোমাকে খেতে দেয় নিজের খিদে পেটে পুষে, তার কাছে ঠিক একদিন তোমার আবেগের চূড়া গলে পড়বে। যেখান থেকে ‘তুমি’ এই আবেগকে তুলে ‘আমাদের’ মাঝে এনেছ, ফিরিয়ে দিয়ে আসো ওই মন্দাকিনীর পাড়ে - একদিন ‘আমরা’, আমিও গমন করবো চিরনিদ্রার দেশে।



                                            ইতি -
তোমার অসমন্তরাল ভালোবাসার কাঙাল
                                                                                   আবিয়াদ আহমেদ 

Friday, November 10, 2017

ফিরে যেতে চাই মাতৃক্রোড়ে

Article Tag No. 31219
© Abiyad Ahmed 


ফিরে যেতে চাই মাতৃক্রোড়ে 
লেখক: আবিয়াদ আহমেদ 


অস্বস্তি, একটা নির্বিকার চূড়া বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে আমার দৈনন্দিন কর্মযজ্ঞে। কিছু বুঝতে পারছিনা, বদ্ধ উন্মাদ হয়ে বসেছি মনে হয় - তবে ভারসাম্যহীন হয়ে পড়িনি। একাকিত্ব জিনিসটা পুরোপুরি গ্রাস করে ফেলেছে আমার নিকটস্থ সব হৃদ-গহ্বরকে, বেসামাল দুশ্চিন্তা হামেশাই আসে যায় বিনা পারিশ্রমিক দিয়েই। কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে থমকে গেছে, বংশীর টোপে আটকে পড়েছি - ভাঙাচোরা উদ্বেল আকাঙ্খা নিয়ে। চিরে দেখতে পারো বুকের ক্ষতগুলো, জীবন যে শুধু বই নিয়েই সীমাবদ্ধ তা নয় কিন্তু আমাদের সমাজ ব্যবস্থা এতটাই লাজুক যে কোনও কিছু এক্সপ্লোর করার মূল্য দিতে শেখেনি। জাগ্রত জনজীবনে, হুঙ্কার দেয় কেরিয়ার এর তাড়না - অমাবস্যার রাতে ভাটার মত। কাউন্সেলিং? তা নিয়ে এগোচ্ছিনা কারণ যতটুকু সেন্স আছে, তাতে মনে হয় একজন ভালো সঙ্গী নিয়ে জীবনটা শুরু করবো - সেটা নিয়েও প্রবাদ আছে মানবকূলের! সঙ্গী শুধু ‘স্ত্রী’ হতে হবে তেমন নয়, মানুষ এককথায় ‘সামাজিক জীব’ রোজনামচা দেখে জীবনটা কাটিয়ে হাঁফ ধরেছে। জীবনের বাইরেও একটা ‘নিজস্বতা’ আছে এটা বোঝানোর মত না অভিভাবক পেলাম না কোনও আত্মীয়-স্বজন - যাকেই বোঝাতে যায় সেই ফুলহারা নদীর মত ফেঁপে ওঠে, গর্জিত হয়ে ওঠে আর বড় চকে শুধু এটাই বলে “অকালপক্ক, পড়াশুন ছাড়া জীবনে কিছু নেই” তত্ত্বটা ভুল, প্রমান করেছে পদার্থবিদ্যা! কী বলেছে পদার্থবিদ্যা? বলেছে পদার্থের ‘দ্বিত্ব সত্ত্বা’ আছে যেটা ইংলিশে ডুয়াল নেচার। নিজের মনের সাথে প্রতিনিত ঘটে যাওয়া অভিজ্ঞতাগুলো নির্মম ভাবে মারা যাচ্ছে - সমাজের পরিকল্পনাগুলো এমনই করুণ তাতে আমার শবদেহ নিয়ে শোকার্ত হয়ে দুদিন কাটিয়ে দেবে কিন্তু আমার শবদেহ সম মনটা নিয়ে কাউর ‘রা’ ওঠেনা। খুব ইচ্ছে হয় পাখি হতে যাদের কোনও চিন্তার লেশমাত্র থাকেনা, বেমানান কোনও চাহিদা পড়েনা। আমরা নিজের কাছে কিছু জানতে চাইলে লজ্জিত হয়, জীবনের স্বাদ বলতে শুধু পড়া-লেখা-কেরিয়ার এটাই বুঝে এলাম। মানসিক শান্তি না থাকলে রাজকোশ নিয়েও সুখে থাকা যায়না - এটা পরিবারের পক্ষ থেকে উল্লেখ্য ভুল বিবেচিত হয়। ভরণ-পোষণের দুটো মুঠো ভাত আর লজ্জা নিবারণের জন্য কাপড়, রাতের খোলা আকাশের নিচে মাথা গুঁজে থাকার আশ্রয়, জীবনধারণের যে অর্থের প্রয়োজন সেটা - মানসিক সুস্থ্যতা থাকলে এমনিতেই কোনো ভয়ংকর রোগের প্রকোপ থাকেনা। তাও যেন বদ্ধ উন্মাদ আমি, কূলের পাড়ে ময়ূরের কান্না! চোখ ভিজে জল পড়ে, যার অর্থ বোঝালাম কিন্তু ‘অবুঝ’ সমাজ আর বন্ধুসুলভ পিতামাতার অভাবে নিমজ্জিত আমি আবার ফিরে যেতে চাই দূরদেশে - মাতৃগর্ভে!

            "অলক্ষ্যে বাজে নিনাদ, তেষ্টা পেয়েছে খুব -
বাঁশির সূরে ফাটল ধরেছে টুটে গেছে গান,
           বেঁচে থেকেও যে জর্জরিত দেহ দিচ্ছে ডুব -
কালবেলাকার উচ্ছাসে, মাতৃক্রোড়ে - ফিরতে চাই মোর প্রাণ!"