Wednesday, November 29, 2017

পত্র ১

Article No. L0001
© Abiyad Ahmed
#Dedicated


আমার ভালোবাসা,

              গূঢ় চিন্তার মেলা পুরো আপদমস্তকে, দিগন্ত জুড়ে হতাশার ভিড় জমেছে। আমি তোমার প্রেমিক, ভয় করে তোমার সূক্ষ বিচারের কূলে আমার তোষামোদি করতে। আমি কখনও জানতে চাইনি তোমার নিকটস্থ সকল চেতনারা কতটা দুর্বল আমার ভালোবাসার নিরিখে? জ্ঞানপূর্বক আমি স্থিতিশীল আজ, মোহরানা দিতে পারিনি তবুও তোমাকে অনেক স্নেহ দিয়ে এসেছি। তথাকথিত আমাদের সম্পর্কে অনেক বাঁধা আছে - বিশ্লেষণ করার মত পরিস্থিতি এখনই এসেছে কিন্তু আমরা অনড়। প্রতিবন্ধী দুটো মন, দুর্লভ ভালোবাসা, অনেকটা স্পঞ্জের সঙ্গে শক্ত শামুকের খোলক! সমস্যাটা কোথায়? খুঁজে দেখেছি দুজনের চোখে অপরদিকে ছেড়ে যায় সমাধানের রাস্তাগুলো। কোকিলের দেহ কুৎসিত হলেও সুমিষ্ট গলার সুর মন কেড়ে নেয় রাখালের, নতুন নিশ্চয় শুনলে বলে মনে হচ্ছে কারণটা খতিয়ে দেখলে তোমার মনে হবে আমাদের সম্পর্কটা সত্যি সত্যিই সমস্যার আঁতুড়ঘর। অসংখ্য নিশুতি রাত পেরিয়ে গেছে, আমাদের অন্তর্ণীল প্রেমগুলো সেজে উঠেছে রোশনির আলোয় পার্কের অন্ধকার ঝোপের আড়ালে, কিংবা লোকশূন্য নির্জন গলির অন্ধকারে - ভালো কথা, এসবের পাশাপাশি দুজনের অভিমান, একে অপরের প্রতি ক্রোধও জমেছে সেটা নজরেই আসল একজনের। হতভাগা ‘সম্পর্ক’ রা কেঁড়ে বলছে, তোদের ধিক….ধিক….ধিক্কার! তোরা সূর্যের আলোয় অনেক হাসি মজা করে রাতের নভমণ্ডলের নক্ষত্রপুঞ্জের সামনে কত রঙ মাখিস (ব্যঞ্জনাধর্মী), মিঠেল হাসির আদলে বুকে যন্ত্রণা নিয়ে ‘তোমাকে ছাড়া আমি বাঁচবোনা’ আশ্বাস দিস। এ ‘সম্পর্ক’ যে ভীষণ মায়াবী সে জবাব শুধু দুজনই জানে, এক - প্রেমজুগল, দুই - সৃষ্টির স্রষ্টা; - যেমন অঝোর গলায় দুজনে চেঁচিয়ে গর্জায় এই শীতের নিস্তব্ধতায় তেমনই ঘরকুনো দুটো হৃদয় উপলব্ধি করে দুজনের অনুপস্থিতি। প্রেমিকরা আর যেমনই হউক, তার সঙ্গিনীর উপর বাজপাখির চোখ রাখে, সর্পদংশন থেকে পাখির বিষ্ঠা গায়ে না লাগে, সঙ্গিনীর মাও বোধহয় জন্মলগ্নে নিজের কোষ্ঠতে থাকা বাচ্চার খেয়াল রাখেনা সাধারণত। মৌলবাদী ধারণার প্রেক্ষিতে, সমাজের চিত্রকলায় অনেক ধুলো জমেছে - জমেছে অনেক শীত - অনেক ধোঁয়াশা কুয়াশা, এতগুলো দিনের মজুরি বলতে ‘ইগো’। বাহঃ নবীনের বরণ তোমার কোথায় গেল? ইজ্জতের আভ্রু মিটিয়ে দিলে কোন অচেনা ঢেউ এ? শংসা যদি আসে, তোমার বেমানান হাসির সাথে সোনালী রঙের চুলের, ভালোলাগা যদি হয়, তোমার গায়ের গন্ধে তোমার নরম তালুর ছোঁয়া - বাকিটা আত্মহুঙ্কার। জানি আমি আমাদের দায়বদ্ধতা উবে গেছে, অহর্নিশি আমাদের সকল পরিশ্রমের মূল্যে, জানো বেঁচে আছে শুধু নির্ভিক জাগ্রত ‘জেদ’ - বিতৃষ্ণা আর বিতৃষ্ণা।

আজ এইদিনটা দেখার অপেক্ষা করেছিলাম আমরা? সব প্রশ্নরা ভিড় জমিয়েছে আমাদের মনের আনাচে কানাচে, এই শুভঃ দিনটা আমরা সাজিয়েছিলাম আমাদের ভালোবাসা দিয়ে? এগুলোই স্বার্থক আমাদের বেখেয়ালি ভালোবাসার তীরে? জবাব শুধু মনকে দিলে ক্ষতি নেই কিন্তু মুখের কারচুপি সমাজের নিরীহ বৃক্ষরাজির কাছে সঁপে দেব কোন মহৎ উক্তি দিয়ে? ‘তোমাকে’ সুন্দর রাখতে আমরা অনেক তপস্যা করেছি, নদীর বুকে থেকে ঝিনুক এনে প্রস্তাব দিতে পারিনি অথচ নর্তকীর ঝুমকা তোমাকে উপহার দিয়েছিলাম। আজ যদি দুটো আবদার রাখি তোমার ঊর্ধ্বত দৃষ্টিকোণে সেখানে ক্ষতি কোথায়? আমাদের লেলিহান প্রান্তরে এইভাবে একলা ফেলে কেন তুমি নিজের মতিভ্রম করছো? আবেগ - জানি! তোমার অনেক আবেগ আছে, অনেক চাহিদা আছে, যে প্রেমিক নিজের প্লেটের খাবার তুলে তোমাকে খেতে দেয় নিজের খিদে পেটে পুষে, তার কাছে ঠিক একদিন তোমার আবেগের চূড়া গলে পড়বে। যেখান থেকে ‘তুমি’ এই আবেগকে তুলে ‘আমাদের’ মাঝে এনেছ, ফিরিয়ে দিয়ে আসো ওই মন্দাকিনীর পাড়ে - একদিন ‘আমরা’, আমিও গমন করবো চিরনিদ্রার দেশে।



                                            ইতি -
তোমার অসমন্তরাল ভালোবাসার কাঙাল
                                                                                   আবিয়াদ আহমেদ